ঢাকার দর্শনীয় স্থানসমূহের সময়সূচী ও ভ্রমন গাইড-একদিনে যতটুকু দেখ সম্ভব!
ঢাকা শুধু বাংলাদেশর রাজধানীই নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক,এবং অর্থনীতি,ঐতিহাসিক কেন্দ্রস্থল। এখানে প্রতিদিন হাজারো মানুষ এই শহরে আসেন,কেউ কাজের উদ্দেশ্যে,আবার কেউবা ঘুরতে।আপনি যদি ঢাকায় একদিন বা অল্প সময়ের জন্য থাকেন,তাহলে এই অল্প সময়ের মধ্যে কীভাবে দর্শনীয় স্থানগুলো দেখা যায়-তা জানাটা খুবই জরুরি। আমরা এই ব্লগ এর মাধ্যেমে জানাবো কিভাবে ঢাকার জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানগুলোর সময়সূচী ও খরচ ,যাতে আপনি সহজেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে পারেন।
🕌 লালবাগ কেল্লাঃ ইতিহাস যেখানে কথা বলে
ঢাকার ব্যস্ত শহরের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে লালবাগ কেল্লা-যেন সময়ের গহীন থেকে উঠে আসা এক রহস্যময় ইতিহাস।১৬৭৮ সালে শুরু হলে শেষ হয়নি এর নির্মান,ঠিক যেমন কিছু গল্প অপূর্ণ রেখেই সুন্দর হয়। লাল ইটের দেয়ালে,রহস্যময় সুড়জ্ঞ আর শায়েস্তা খাঁর না বলা কাহিনী মিশে আছে প্রতিটি ইটে।এখানে সন্ধ্যায় সূর্য ডোবার আলোয় কেল্লটি যেন স্বর্ণময় এক রাজপ্রাসাদে রুপ নেয়।আপনি যদি ইতিহাস, সৌন্দর্য আর রোমাঞ্চ ভালোবাসেন—তাহলে লালবাগ কেল্লা একবার নয়, বারবার গেলে, মুগ্ধতায় বারবার ফিরে আস্তে ইচ্ছে করবেই।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরঃজ্ঞানের খনি,ইতিহাসের আয়না।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত যেটা দেশের সবচেয়ে বড় জাদুঘর। এটি ১৯১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বর্তমানে এখানে রয়েছে অনেক ইতিহাস,যেমন-মুক্তিযুদ্ধ,শিল্পকলা,পুরাকীর্তি,জীববৈচিত্র্য ও নূতিজ্ঞান সম্পর্কিত হাজারো মূল্যবান সংগ্রহ। শিক্ষার্থী,এবং সকল পর্যটক ও ইতিহাস প্রেমিদের এটি একটি সুন্দর স্থান।
🔸সময়সূচিঃনিচে দেওয়া হলো
- খোলা থাকেঃশনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত
- সময়ঃ সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ পর্যন্ত
- সাপ্তাহিক বন্ধ থাকেঃ বূহস্পতিবার
- শুক্রবার খোলা থাকে বিকেল ৩ টা থেকে রাত ৮ ট পর্যন্ত
🔸প্রবেশ মূল্য (টিকিট)
- সাধারণ দর্শনার্থী: ২০ টাকা
- শিক্ষার্থী: ১০ টাকা (আইডি কার্ড লাগবে)
- শিশুরা (৫ বছরের নিচে): ফ্রি
- বিদেশি নাগরিক: ৩০০ টাকা
- ক্যামেরা/ফটোগ্রাফি: আলাদা ফি প্রযোজ্য
🔸ঠিকানাঃ ঢাকা (রামনা পার্কের বিপরীত পাশে)
এখানে পরিবার এর সবাই কে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া যায়। এবং শিশুদের জন্য গ্যালারি,এবং বড়দের জন্য ইতিহাস ও বিশাল শিক্ষামূলক ভ্রমনের জন্য এটি আদর্শ স্থান।
🔍টিপসঃ
জাদুঘরের ভিতরে খাবার ও পানীয় নিষেধ
গ্যালারিতে প্রবেস এর সময় মোবাইল ফোন সাইলেন্ট রাখুন
ছবি তোলার আগে আপনাকে অনুমতি নিতে হবে
শেষ কথাঃ
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর শুধু একটি জাদুঘর নয়,বরং এটি আমাদের জাতির গৌরব এবং ইতিহাস প্রতিছবি।আপনি যদি কখনো ঢাকা শহরে আসেন, তাহলে অবশ্যই এটি তালিকায় রাখার মতো স্থান।
🌿সবুজে ঘেরা শান্তির ঠিকানা – বোটানিক্যাল গার্ডেন
শহরের কোলাহল থেকে একটু দূরে সবুজ মোড়ানো এক র্স্বগ-বোটানিক্যাল গার্ডেন। এখানে শহরের ধুলো-বালির বাইরে এই যেন সবুজের রাজ্য। এখানে গাছের ছায়া,ফুলের গন্ধ আর পাখির গান মিলে তৈরি হয় স্নিগ্ধ পরিবেশ। এটা শুধু ঘুরে বেড়ানোর জাইগা নয়,এখানে এক শেখার ক্ষেত্রও-প্রতিটি গাছ যেন জীবান্ত বই।বন্ধুদের নিয়ে সকাল বেলা হাঁটা ,ছবি তলা,কিংবা নির্জনে বসে থাকার জন্য এর চেয়ে ভালো জাইগা হয় না।
শিশুরা প্রকৃতিকে জানতে পারে, বড়রা পায় মানসিক প্রশান্তি। প্রতিটি কোণেই যেন লুকিয়ে আছে প্রকৃতির গল্প। এবং যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি ভুলে কয়েক ঘণ্টা হারিয়ে যেতে চাইলে, বোটানিক্যাল গার্ডেনই হতে পারে আপনার পরবর্তী গন্তব্য। প্রকৃতিকে ভালোবাসতে শেখায় এই জায়গা।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url