ঢাকার দর্শনীয় স্থানসমূহের সময়সূচী ও ভ্রমন গাইড

ঢাকা শধু বাংলাদেশর রাজধানীই নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক,এবং অর্থনীতি,ঐতিহাসিকফেসবুক থেকে ইনকাম কেন্দ্রস্থল। এখানে প্রতিদিন হাজারো মানুষ এই শহরে আসেন,কেউ কাজের উদ্দেশ্যে,আবারফেসবুক থেকে ইনকাম কেউবা ঘুরতে।আপনি যদি ঢাকায় একদিন বা অল্প সময়ের জন্য থাকেন,তাহলে এই অল্প সময়ের মধ্যে কীভাবে দর্শনীয় স্থানগুলো দেখা যায়-তা জানাটা খুবই জরুরি।

আমরা এই ব্লগ এর মাধ্যেমে জানাবো কিভাবে ঢাকার জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানগুলোর সময়সূচী ও খরচ,যাতে আপনি সহজেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে পারেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ঢাকার দর্শনীয় স্থানসমূহের সময়সূচী ও ভ্রমন গাইড

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরঃজ্ঞানের খনি,ইতিহাসের আয়না

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত যেটা দেশের সবচেয়ে বড় জাদুঘর। এটি ১৯১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বর্তমানে এখানে রয়েছে অনেক ইতিহাস,যেমন-মুক্তিযুদ্ধ,শিল্পকলা,পুরাকীর্তি,জীববৈচিত্র্য ও নূতিজ্ঞান সম্পর্কিত হাজারো মূল্যবান সংগ্রহ। শিক্ষার্থী,এবং সকল পর্যটক ও ইতিহাস প্রেমিদের এটি একটি সুন্দর স্থান।

🔸সময়সূচিঃনিচে দেওয়া হলো

  • খোলা থাকেঃশনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত
  • সময়ঃ সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ পর্যন্ত
  • সাপ্তাহিক বন্ধ থাকেঃ বূহস্পতিবার
  • শুক্রবার খোলা থাকে বিকেল ৩ টা থেকে রাত ৮ ট পর্যন্ত

🔸প্রবেশ মূল্য (টিকিট) 

  • সাধারণ দর্শনার্থী: ২০ টাকা
  • শিক্ষার্থী: ১০ টাকা (আইডি কার্ড লাগবে)
  • শিশুরা (৫ বছরের নিচে): ফ্রি
  • বিদেশি নাগরিক: ৩০০ টাকা
  • ক্যামেরা/ফটোগ্রাফি: আলাদা ফি প্রযোজ্য

🔸ঠিকানাঃ ঢাকা (রামনা পার্কের বিপরীত পাশে)

এখানে আপনি পরিবার এর সবাই কে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া যায়। এবং শিশুদের জন্য গ্যালারি,এবং বড়দের জন্য ইতিহাস ও বিশাল শিক্ষামূলক ভ্রমনের জন্য এটি আদর্শ স্থান।

🔍টিপসঃ

জাদুঘরের ভিতরে খাবার ও পানীয় নিষেধ

গ্যালারিতে প্রবেস এর সময় মোবাইল ফোন সাইলেন্ট রাখুন

ছবি তোলার আগে আপনাকে অনুমতি নিতে হবে

শেষ কথাঃ বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর শুধু একটি জাদুঘর নয়,বরং এটি আমাদের জাতির গৌরব এবং ইতিহাস প্রতিছবি।আপনি যদি কখনো ঢাকা শহরে আসেন, তাহলে  অবশ্যই এটি তালিকায় রাখার মতো স্থান।

লালবাগ কেল্লাঃইতিহাস যেখানে কথা বলে

ঢাকার ব্যস্ত শহরের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে লালবাগ কেল্লা-যেন সময়ের গহীন থেকে উঠে আসা এক রহস্যময় ইতিহাস। ১৬৭৮ সালে শুরু হলে শেষ হয়নি এর নির্মান,ঠিক যেমন কিছু গল্প অপূর্ন রেখেই সুন্দর হয়। লাল ইটের দেয়ালে,রহস্যময় সুড়জ্ঞ আর শায়েস্তা খাঁর না বলা কাহীনি মিশে আছে প্রতিটি ইটে।এখানে সন্ধ্যায় সূর্য ডোবার আলোয় কেল্লটি যেন স্বণময় এক রাজপ্রসাদে রুপ নেয়।আপনি যদি ইতিহাস,সৌন্দর্য আর রোমাঞ্ঝ ভালোবাসেন-তাহলে লালবাগ কেল্লা একবার নয়,বারবার গেলেও,মুগ্ধতায় বারবার ফিরে আস্তে ইচ্ছে করবে।

🌿সবুজে ঘেরা শান্তির ঠিকানা – বোটানিক্যাল গার্ডেন

শহরের কোলাহল থেকে একটু দূরে সবুজ মোড়ানো এক র্স্বগ-বোটানিক্যাল গার্ডেন। এখানে শহরের ধুলো-বালির বাইরে এই যেন সবুজের রাজ্য। এখানে গাছের ছায়া,ফুলের গন্ধ আর পাখির গান মিলে তৈরি হয় স্নিগ্ধ পরিবেশ। এটা শুধু ঘুরে বেড়ানোর জাইগা নয়,এখানে এক শেখার ক্ষেত্রও-প্রতিটি গাছ যেন জীবান্ত বই।বন্ধুদের নিয়ে সকাল বেলা হাঁটা ,ছবি তলা,কিংবা নির্জনে বসে থাকার জন্য এর চেয়ে ভালো জাইগা হয় না।

শিশুরা প্রকৃতিকে জানতে পারে, বড়রা পায় মানসিক প্রশান্তি। প্রতিটি কোণেই যেন লুকিয়ে আছে প্রকৃতির গল্প। এবং যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি ভুলে কয়েক ঘণ্টা হারিয়ে যেতে চাইলে, বোটানিক্যাল গার্ডেনই হতে পারে আপনার পরবর্তী গন্তব্য। প্রকৃতিকে ভালোবাসতে শেখায় এই জায়গা।

বোটানিক্যাল গার্ডেন এমন একটি জায়গা,যেখানে গেলে আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। প্রযুক্তির্নিভর জীবনের এর মাঝে মধ্যে এই সবুজ ছায়ায় ফিরে আসার দরকার- মনের প্রকূতির মাঝে সময় কাটাতে চাইলে এর চেয়ে আর ভালো যায়গা আর হয় না।আপনি যদি এখনো না গিয়ে থাকেন,তবে আগামী ছুটির সময় একদিন এর প্লান করে ফেলুন।সবুজে ঘেরা শান্তির মাঝে আপনাকে বিমোহিত করবেই। 

✨ অতিরিক্ত টিপস: ভ্রমণ হোক ঝামেলাহীন

ভ্রমন মানে আনন্দ,যেমন আছে তেমন অপ্রস্ততি থাকলে তা হয়ে উঠেতে পারে ঝামেলার কারণ।তবে ঝামেলামুক্ত ও আরামদায়ক করতে চাই একটু বাড়তি প্রস্ততি। তাই অতিরক্ত কিছু টিপস মেনে চললে আপনার যাত্রা হবে আর ও নিরাপদ এবং উপভোগ্য।

প্রথমে আপনাকে মনে রাখতে হবে দরকারি কাগজপত্র যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র,পাসপোর্ট এবং টিকিটের ফটোকপি,আলাদা করে নিজের কাছে রাখুন।মোবাইল ফোন ফুল চার্জ করে রাখুন। এবং আপনি যে হোটেল নাম অথবা জরুরি ভাবে তাদের নাম্বার নোট করে রাখুন।ব্যাগ গোছানোর সময় অপ্রয়োজনীয় জিনিস বাদ দেন।কেননা হালকা ভ্রমন সবসময় বেশি সুবিধাজনক।তবে ব্যক্তিগত ভাবে প্রয়োজনীয় ঔষদ রাখা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

আর হ্যাঁ অবশ্যই আপনাকে অফলাইনে ম্যাপ ডাউনলোড করে রাখলে,ইন্টারনেট না থাকলেও পথ হারানোর ভয় থাকবে না।সবশেষ ধৈর্য এবং ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে ভ্রমনে বের হলে,ছোট খাটো ঝামেলা উপভোগের একটি অংশ হয়ে উঠে।পরিকল্পনা থাকুক যত্নে,এবং যাত্রা হোক স্বপ্নময়।ভালো থাকুন।সুস্থ থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

Md. Dulal Islam
Md. Dulal Islam
একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট ও অর্ডিনারি আইটির সিনিয়র সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার। তিনি অনলাইন ইনকাম, ব্লগিং, SEO ও টেকনোলজি নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করেন। ৫ বছরের অভিজ্ঞতায় তিনি শিক্ষার্থীদের অনলাইনে সফল হতে সহায়তা করে যাচ্ছেন।